আগের দিনই আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারিয়ে স্তব্ধ করে দিয়েছিল বোর্নমাউথ। প্রিমিয়ার লিগের টানটান উত্তেজনার মাঝে নিচু সারির দলের কাছে এমন হার কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে গেল বারের লিগ রানারআপ আর্সেনালকে। আর সেটার সুযোগ ভালভাবেই নিয়েছে আর দুই শিরোপাপ্রত্যাশী লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটি।
গতকাল রাতে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে দুই দলই। কাকতালীয়ভাবে দুই দলই জয় পেয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। এই জয়ের পর ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল। ১ পয়েন্ট কম দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির। আর তিনে থাকা আর্সেনাল এবং চারে থাকা অ্যাস্টন ভিলার অর্জন সমান ১৭ পয়েন্ট।
উলভারহ্যাম্পটন ১ – ২ ম্যানচেস্টার সিটি
শুরুতে পিছিয়ে পড়েও উলভসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় কয়েক ঘণ্টার জন্য শীর্ষে উঠে গিয়েছিল সিটি। তবে পরে চেলসিকে হারিয়ে শীর্ষে ফিরেছে লিভারপুল। ম্যাচের ৭ মিনিটেই ইওর্গেন লারসেনের গোলে উলভস এগিয়ে যায়।
কিন্তু ৩৩ মিনিটে দূরপাল্লার সমতা ফিরিয়ে উলভস সমর্থকদের উৎসবে পানি ঢেলে দেন গার্ভাদিওল। প্রিমিয়ার লিগে এ বছর এটি তার ষষ্ঠ গোল।
বিরতির পর সিটি জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে উলভসের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেননি আর্লিং হালান্ডরা। ম্যাচ যখন সবাই ড্র ধরে নেন, তখনই ব্যবধান গড়ে দেন স্টোনস। যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে পাওয়া সিটির কর্নার নেন বদলি ফিল ফোডেন। বক্সের জটলায় লাফিয়ে উঠে তা থেকে মাথা ছুঁয়ে উলভসের জালে বল পাঠান স্টোনস।
লিভারপুর ২ – ১ চেলসি
মৌসুমে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯ জয়। তবে এর মাঝে বড় কোনো দলের বিপক্ষে অবশ্য খেলা হয়নি তাদের। আর্নে স্লটের দলের কঠিন প্রতিপক্ষ অবশ্য শুরু এখান থেকেই। চেলসির পর আর্সেনাল এবং রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ তাদের। সেইসব ম্যাচে আবার পাওয়া হবে না অ্যালিসন বেকারকে।
বিগ ম্যাচে ২৯ মিনিটে সালাহর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় অল রেডরা। সেই লিড নিয়েই বিরতিতে যায় লিভারপুরল। বিরতির পর নিকলাস জ্যাকসনের গোলে সমতা ফেরায় চেলসি। তবে লিভারপুলের ভরসা ছিল অতীত রেকর্ডে। ঘরের মাঠে অ্যানফিল্ডে হাফটাইমে লিড নেয়া অবস্থায় শেষ ১৪৪ ম্যাচে হারেনি তারা।
সেই হলো এদিনেও। গোল হজমের ৩ মিনিট পরেই লিভারপুলকে এগিয়ে নেন কার্টিস জোন্স। শেষদিকে চেলসি ভাল কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত হয় অলরেডদের।