দেশে বন্যার সম্ভাবনা নেই, ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলেও

📄🖋: রুবিনা আক্তার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে
ফারাক্কা বাঁধ

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে এখনও কোনো প্রভাব পড়েনি। উজানে গঙ্গা নদীর পানি স্থির রয়েছে এবং বাংলাদেশ অংশেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এটি স্থির অবস্থায় থাকবে এবং বন্যার পরিস্থিতি আপাতত নেই।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যার মধ্যে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানান।

সরদার উদয় রায়হান আরও বলেন, পানি কমেছে। ১৩টি পয়েন্টের মধ্যে ১২টিতে পানি নিচে নেমে গেছে। এছাড়া, পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও তাতে পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

অপরদিকে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রবীণ প্রকৌশলী ম ইনামুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ফারাক্কার মোট গেট ১০৯টি। সবসময় কিছু খোলা থাকে। বর্ষার সময় আরো খোলে। বর্তমানে সবকটি খোলা হচ্ছে। তিনি আপাতত বন্যার সম্ভাবনা নেই বলে জানান।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি এবং বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে পানি ছাড়ার কারণে চাপ বাড়ছে ফারাক্কা ব্যারেজে। তাই ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। যদিও বাকি সময়ে আপস্ট্রিমে পানি যেমন থাকে, সেই অনুযায়ী ডাউনস্ট্রিমে পানি ছাড়া হয়। গঙ্গার পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সূত্রের খবর, যে পরিমাণ পানি আসছে, সেই পরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের ডেঞ্জার লেভেল ইতিমধ্যেই ৭৭.৩৪ অতিক্রম করেছে। ভারত ফারাক্কা ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় পানি ছেড়েছে।

ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে জানান, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় সতর্ক রয়েছে। তারা প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। খুব কম সময়ের মধ্যে পানির চাপ এত বেড়ে গেছে যে, ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিলে ব্যারাজের ওপর বড় চাপ তৈরি হচ্ছিল। এর ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক এবং ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

  • বন্যা
  • বাংলাদেশ