নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে জেলে কার্ড জালিয়াতি ও আত্মসাৎ করতে না পারায় ছাত্র অধিকার পরিষদের হাতিয়া উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলা করার অভিযোগ উঠেছে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সাহেদ উদ্দিন ওরুপে সাহেদ মেম্বারের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে ছাত্র নেতা আয়াত আলী ভুক্তভোগী হয়ে ২৯ অক্টোবর, ইলিয়াছ, হাছান, সচিব, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ এবং লাভলী বেগম, অথরাইজ চেয়ারম্যানকে সাক্ষী রেখে, সাহেদ মেম্বারকে ১ নাম্বার আসামি করে আরো ৫-৭ এর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় ও হাতিয়া নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ২৯ অক্টোবর নিঝুমদ্বীপ জেলে কার্ডের চাউল বিতরণের সময় তদারকির জন্য নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের সচিব থাকতে বলায় সে তার দায়িত্ব পালন করার সময় দুপুর ১.৩০ সময় চাউল বিতরণের সময় অনিয়মকে কেন্দ্র করে সাহেদ মেম্বার ও তার সহযোগীদের সাথে সচিবের তর্কবিতর্ক হয়।
এক পর্যায়ে সাহেদ মেম্বার ও তার সহযোগীরা নিঝুমদ্বীপের অধরাইজ চেয়ারম্যান লাভলী বেগমকে মারধর করার জন্য আক্রমন করলে বাধা দেওয়ায় অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে শরীরে এলোপাথাডি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে জখম করে সেখান থেকে বের করে দেয়।
এবং সে সময় তার সাথে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড ভিভো ও একটি বাটন মোবাইল নিয়া যায়। এবং তাকে প্রকাশ্য হুমকি দেয় সময় সুযোগমত পেলে মারপিট করবে, প্রাণনাশ করবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন শাহেদ এর ৮/১০ পালিত সন্ত্রাস রয়েছে এরা একেকজন একেক জায়গায় কাজ করে, টাকা দাবী করে, না দিলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। কেউ প্রতিবাদ করলে আয়াতের মতো মার খেতে হয়।
এই বিষয়ে সাহেদ মেম্বার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন মারামারি হয় আমি সেখানে ছিলাম না। আমি মসজিদে ছিলাম, আর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ অপপ্রচার করতেছে।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হাসান বলেন, মারামারি হয়েছে এটা সঠিক, তার উপর হামলা হয়েছে সেটাও সঠিক, তবে কে বা কারা হামলা করছে সেটা আমি কিছু জানি না।
এই বিষয়ে অথরাইজ চেয়ারম্যান লাভলী বেগমকে বারবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ি সাব ইন্সপেক্টর এসআই মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আয়াত আলী অভিযোগ দিয়েছে, এবং সে মামলা করবে বলেও জানায়, আমি তদন্ত করছি বিষয়টা নিয়ে।