আওয়ামী লীগের শাসন আমলে হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়ার শিক্ষাখাতে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষক, কাজী ও নেতা সেজে, বদলী নিয়োগ, লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, এবং অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ যোগদানের পর থেকে কর্মস্থলে বেশির ভাগই অনুপস্থিত থাকা সহ রয়েছে বহু অভিযোগ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নিঝুম দ্বীপ জুনিয়র হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ওরুপে সাইফুল কাজীর বিরুদ্ধে।
তার কোটি টাকার আলিশান বাড়ি নির্মাণ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি শিক্ষক আবার পাশাপাশি কাজী ও। জুনিয়র হাইস্কুলের সামান্য একজন শিক্ষক হয়ে সাইফুলের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ অর্জনে এখন প্রশ্ন উঠেছে।
সাইফুল আর দশজনের মতো সাধারণ কোনো শিক্ষক নন। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর খুবই ঘনিষ্ঠও ছিলেন তিনি। এমপি পরিবারের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে এসব সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে সাইফুলের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, নিঝুম দ্বীপে মাত্র একটি জুনিয়র হাই স্কুল রয়েছে, ২০০০ সাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালে এটা এমপিওভুক্ত হয়. নিঝুম দ্বীপ হাতিয়া থেকে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় শিক্ষক আসতে চাই না। এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রদের অনেকগুলো অভিযোগের মুখে ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে সাইফুল কাজী পলাতক কিন্তু তার প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর রয়েছে।
জানা যায় সাইফুর ইসলাম ওরুপে সাইফুল কাজী নিঝুম দ্বীপ জুনিয়র হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক হয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন এবং তার পাশাপাশি, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের কাজী দায়িত্ব পালন করতেন, সব সময় ডিভোর্স এজেন্সি খুলে রাখতেন টাকার বিনিময়ে ডিভোর্স করতেন। কাবিন এর সরকারি ফি এর চাইতে ৫ গুন বেশি নিতেন সাইফুল কাজী। কম বয়সী ছেলে মেয়ে বিবাহের ক্ষেত্রে, মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিবাহ করিয়ে দিতেন, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আয় করে করেছেন নিঝুম দ্বীপে বিলাসবহুল বাড়ি।
ছাত্রছাত্রীরা জানান গত দুই বছরে সাইফুল কাজী ক্লাস করাইছে ২০ টার মত কিন্তু ওনার শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর আছে প্রতি মাসের প্রত্যেক দিন । আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পদত্যাগ চেয়েছি। ছাত্র ছাত্রীরা আরো বলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়মিত ক্লাস নেই না, ক্লাসে আসি ছাত্র এবং শিক্ষকদেরকে গালিগালাজ করে। খালি গায়ে ক্লাসে আসে, নারী কেলেঙ্কারি, ক্লাসে রাজনৈতিক আলোচনা করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
এই বিষয়ে সাইফুল ইসলাম ওরুপে সাইফুল কাজীর মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করে নি। তাই তার মন্তব্য নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে জায়েদ আল হাসান বলেন, এই বিষয় কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি যদি লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।