ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলা ও নগরীর আংশিক এলাকায় প্রায় ৩৯৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিরূপণ করেছে।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৩ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জেলার মীরসরাই, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশ উপজেলায় ফসলের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এসব উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১ হাজার ৯২২ হেক্টর সবজি বাগান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ও আমনের জমি। রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২৫১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার।
চট্টগ্রাম জেলায় ১ লাখ ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে ৪৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমি। আমনের ১ লাখ ৫৫৫ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ৩৩ হাজার ১ হেক্টর আউশের মধ্যে ৮ হাজার ৩৮৩ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৯২২ হেক্টর সবজি বাগান এবং অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বন্যায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭১ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৩ হাজার ৮৩১ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফটিকছড়ি উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯৯ কোটি টাকা। মীরসরাই উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে ৪৮ কোটি টাকার। হাটহাজারী উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি টাকা। লোহাগাড়া উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ কোটি টাকা। সাতকানিয়া উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে ২ দশমিক ৯ কোটি টাকা। সীতাকুণ্ডে ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ৭ কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলা ও নগরের আংশিক এলাকায় প্রায় ৩৯৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।