হাতিয়ায় চাঁনন্দী ইউনিয়নে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি লিড়ার বিএনপি নেতা মাহবুব

📄🖋: মামুন রাফী, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে
হাতিয়ায় চাঁনন্দী ইউনিয়নে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি লিড়ার বিএনপি নেতা মাহবুব

চাঁদাবাজি ধান্দার কাছে জীবনযাত্রা বাঁধা পড়ে আছে। হাতিয়ার সব ক্ষেত্রেই চলছে চাঁদাবাজির ধকল। ব্যবসা- বাণিজ্য নিশ্চিত রাখতে, সর্বোপরি প্রাণ বাঁচাতেও কাউকে না কাউকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের মতে, চাঁদাবাজির ধরনেও নানা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, পাল্টে গেছে চাঁদার পরিমাণ ও স্টাইল। আগে কেবল শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি করত, এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগীদের সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী গ্রুপ।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চাঁনন্দী ইউনিয়নে সরকারী মালামাল আত্মসাৎকারী, এলাকায় চাঁদাবাজী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী চাঁদাবাজদের লিডার বিএনপি নেতা মাহবুব

জানা যায়, মাহবুব চাঁনন্দী ইউনিয়ন বিএনপি ও সুবর্ণচর ভূঁইয়ার হাট স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, তার ছত্রছায়ায় রয়েছে আলমগীর, আলা উদ্দিন জিয়া, পারভেজ,আবুল বাশার, ছারওয়ার হোসেন শুভ, শান্ত (রবি), আজিম ও দিদার। গোপন সূত্রে জানা যায় এদের বেশিরভাগই লোকের কাছে রয়েছে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, চাঁনন্দী ইউনিয়নে আতঙ্ক বিরাজ করে সব সময়।

হাতিয়া চাঁনন্দী ইউনিয়নে ০৬ আগষ্ট ২০২৪ থেকে বাজার দখল, ভুমি দখল, অবৈধ চাঁদা আদায়, নিরীহ মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ী ঘর ভাঙ্গচুর, করিম বাজার ঘাট থেকে প্রতিদিন ৬০০০ টাকা করে চাঁদা আদায়, ভূমিহীন বাজার এর খালের পশ্চিম-উত্তর পাশের জেলেদের বোট রাখার নিমিত্তে তাদের থেকে জোর পূর্বক দৈনিক ৮০০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। ভূমিহীন বাজারে সরকারী কোনো ডাক নেই, কিন্তু ডাক না থাকা সত্ত্বেও এই মাহবুব এর কর্মীরা গরু-ছাগলের বাজার, মুরগী বাজার, মাছ বাজার, তরকারি বাজার হতে চাঁদা আদায় করে তাদের লিডার মাহাবুব এর হাতে তুলে দেয়

চাঁনন্দী ইউনিয়ন, করিম বাজার, মোহাম্মদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ টন রড এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য মালামাল চুরি করে বিক্রি করে নিজেরা ভাগ-বন্টন করে নেয় বিএনপি নেতা মাহবুব ও তার সহযোগীরা।

হারিস চৌধুরী বাজারের রড ক্রেতা জুয়েল সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি তো জানি না রড গুলো সরকারি স্কুলের, আর আমাকে মাহবুব, ছারোয়ার সহ আরো অনেকে ছিলো রড নিয়ে আসে আমি কিনে নিয়েছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাঝি ও ব্যবসায়ী জানান, মাহবুব ও তার সহযোগীরা আমাদের অনেক অজুহাত দেখিয়ে চাঁদা নেয়, না দিতে চাইলে হুমকি দমকি শুরু হয়। এবং তারা বলে আগে আওয়ামী লীগ খাইছে তখন কিছু বলো না এখন আমরা ( বিএনপি) খাবে। আমরা সাধারণ মানুষ আমরা তো জীবনের মায়া করি তাই তাদের কথা মতো বাদ্য হয়েই চাঁদা দিতে হয়।

এই বিষয়ে মাহবুব বলেন – আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চলতেছে, আমি এমন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নই, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, তিনি সবকিছুই অস্বীকার করেন।

এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক খোকনকে মুঠোফোনে বারবার কল দিয়েও তিনি তা রিসিভ করেন নি।

এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলার কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আমি আসছি অল্প কয়েকদিন হয়েছে, তবে আমি তদন্ত করবো, এবং আইনি ব্যবস্থা নিবো।

  • চাঁনন্দী
  • নোয়াখালী
  • হাতিয়া