হাতিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

📄🖋: মামুন রাফী, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে
হেদায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কচি

স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়ার শিক্ষাখাতে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষক ও নেতা সেজে, বদলী নিয়োগ, লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, এবং অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ যোগদানের পর থেকে কর্মস্থলে কয়েক দিন পর পর অনুপস্থিত থাকা সহ রয়েছে বহু অভিযোগ। নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের হেদায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কচির বিরুদ্ধে।

জানা যায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত স্কুলে নিয়োগ লাভ, নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তি ও উচ্চতর স্কেলের জন্য মোটা অংকের কমিশন আদায়, ভিন্ন মতালম্বীদের উপর নির্যাতন, নিয়োগ বানিজ্য, দলীয় শিক্ষকদের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, স্কুলের টাকা আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের সাথে জড়িত।

প্রধান শিক্ষক কামারুল ইসলাম কচির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের অবিভাবকরা ২৪ সেপ্টেম্বর হাতিয়া নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট ও হাতিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১২ জন সাক্ষরিত অভিযোগ প্রদান করেন। জানা যায় কচি ৬ নভেম্বর ২১ তারিখে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর সুপারিশে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করে। এবং মোহাম্মদ আলীর ছত্রছায়ায় সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম করেই চলেছে এবং অদ্যাবধি পর্যন্ত তাহার অনিয়ম চলমান রয়েছে। সহকারী শিক্ষক মানিক লাল দাসকে জোর পূর্বক পদত্যাগ, করিয়ে তাহার ইনডেক্স বাতিল করা। ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী জাবেরকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করিয়ে তার আত্মীয়কে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী (নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ)- রনি থেকে ফরম ফিলাপের কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ না করে টাকা আত্মসাৎ করেন।

বর্তমান ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নিলয় দাসের বোন-প্রমি দাস থেকে রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে বয়স কমিয়ে দেয়ার কথা বলে ৮ হাজার টাকা নিয়ে কাজ না করা এবং টাকা ফেরত না দেয়া, বিভিন্ন শিক্ষার্থী থেকে উপবৃত্তির জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে উপবৃত্তি করাতে চেষ্টা করেনি। উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের থেকে মাসিক বেতন আদায় করা যা সরকারি নিয়ম বহির্ভূত।শিক্ষার্থীদের কয়েকগুন বেশি টাকা আদায় করা। ২০২৩ সালে সকল শিক্ষার্থী থেকে নবীন বরন, নব-পাঠদান ও দোয়ার জন্য টাকা নিয়ে কোন প্রকার আয়োজন না করা।বিদ্যলয়ে ৪ জন চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী ও ২ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়া ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও ঘুষ বানিজ্যে সরাসরি জড়িত থাকা। তার উক্ত আর্থিক ও বিভিন্ন প্রকার অনিয়মে অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক অবগত রয়েছেন।

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কচি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার করতেছে।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা বলেনঃ আমার কাছে অভিযোগ পত্র এসেছে, আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে দিয়েছি তদন্ত করলে আমাকে রিপোর্ট দিবে, তারপর ওনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • দুর্নীতি
  • প্রধান শিক্ষক
  • হাতিয়া