স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়ার শিক্ষাখাত সহ সরকারী সকল দপ্তরের সমন্বয়ক হিসেবে ক্ষমতা দেখিয়ে। রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষক ও নেতা সেজে, বদলী নিয়োগ, সাবেক মোহাম্মদ আলী এমপির স্বাক্ষরকৃত ডিও লেটার বাণিজ্য, লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, এবং অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ যোগদানের পর থেকে কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকা সহ রয়েছে বহু অভিযোগ। নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়িরচর শহীদ আলী আহমেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের (সাগরিয়া হাই স্কুল) প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান এর বিরুদ্ধে।
জানা যায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত স্কুলে নিয়োগ লাভ, নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তি ও উচ্চতর স্কেলের জন্য মোটা অংকের কমিশন আদায়, ভিন্ন মতালম্বীদের উপর নির্যাতন, নিয়োগ বানিজ্য, দলীয় শিক্ষকদের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষনে প্রেরণ, স্কুলের টাকা আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের সাথে জড়িত।
স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান,নোয়াখালী ৬ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সাথে হাত করে স্কুলের বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের টাকা আত্মসাৎ, স্কুলের সরকারি অর্থ, ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক ভাবে টর্চারিং সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত এই জিল্লুর রহমান, তাকে আমরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাই না।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কুকর্মের ৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটা ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হয়ে যাই। সেখানে দেখা যায় সাগরিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়েও রেহানিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান।
জানা যায় ৫ আগস্টের পর থেকে জিল্লুর রহমান স্কুলে অনুপস্থিত থেকে পলাতক অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু সে অসুস্থতার মেডিকেল দেখিয়ে চেকে সাইন করিয়ে সেলারি তুলে নিচ্ছে। কিভাবে এই অসম্ভব কে সম্ভব করতেছেন জিল্লুর রহমান এবং তার তার বিরুদ্ধে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার অভিযোগ রয়েছে। তার এসব অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।
সাগরিয়া হাই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে আলাপ করে জানা যায়। জিল্লুর রহমান তিনি বর্তমানে মেডিকেল ছুটিতে রয়েছেন, এবং তিনি স্কুলের প্রনোধনার সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চায়, আমরা দমিয়ে রেখেছি, সে তো পলাতক, এখন তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কি হবে। যখন আসবে দেখা যাবে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা বলেনঃ জিল্লুর রহমান বর্তমানে মেডিকেল ছুটিতে রয়েছে, যেহেতু তার ৩ মাস মেডিকেল ছুটি পাওয়ার নিয়ম রয়েছে, এবং তার পরে যদি সে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে তাহলে পলাতক হিসেবে গণ্য হবে। তখন আমরা তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিব।