আওয়ামী লীগ এর শাসন আমলে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে টিআর কাবিখা-কাবিটা প্রতিবন্ধী বিধবা ও বয়স্কভাতা, জেলে ভাতা সহ বিভিন্ন সরকারি অর্থ অবৈধভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ সহ এলাকায় লুট ভাংচুর অগ্নিসংযোগ খাল দখল জমি দখল দুর্নীতি সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন সহ বেপরোয়া চাঁদা বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়াড়ের সাবেক মেম্বার মোজাহের উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
তারা জানায়, ২০১৭ সালে সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে নদী ভাঙন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন মানুষদের তালিকা করা হয়। সেই তালিকা থেকে ৭নং ওয়ার্ডের ৩৩ জনের নামে ঘর বাবদ প্রায় ৭৫ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ আসে। ঘর দিবে বলে অনেকে থেকে নাম ও টাকা নেয়, কিন্তু কাউকে সে কোন টাকা দেয়নি। তারা কোন টাকা না পাওয়ায় মেম্বারকে প্রশ্ন করলে তিনি গড়িমসি করেন। পরে ওই সকল মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি বরাদ্ধের টাকার বাহিরেও ভাতা কার্ড করে দেওয়া, ঘর করে দেওয়া, সালিশ মীমাংসা, নাগরিক সনদ দেওয়ার নামে সেবা প্রত্যাশীদের থেকে টাকা চাওয়া, টিআর,কাবিখা-কাবিটা, সরকারি চাউল আত্মসাৎ, সহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে মোজাহের মেম্বার করেনি। কোন মেয়ের বিয়ের সময় জন্মনিবন্ধনের জন্য গেলে বয়স কম আছে বলে অভিবাবকদের থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। এহেন কর্মকান্ডে তার ওয়ার্ডের লোকজন অতীষ্ঠ শুরু থেকেই, জানা যায় মোজাহের মেম্বার সোনাদিয়া ৭ নং ওয়াড়ের প্রায় ২০ বছর ধরে ক্ষমতায়, অথচ সেই ওয়াড়ে দুর্নীতি অনিয়ম চাঁদাবাজি, সহ কোন উন্নয়ন এর ছিটেফোঁটা ও লাগেনি।
জানা যায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আত্মার মার্কেটে জোর করে সরকারি জায়গা দগল করে অনেক ঘর তৈরি করেছেন কোন প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করে, যার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমী জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
জামাল উদ্দিন নামের একজন বলেন, আমাকে সরকারি ঘর দিবে বলে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। এমন করে আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পরে ঘর তো দেয় নাই। ভাতা কার্ড করে দিবে বলেছে টাকা নিয়েছে করে দেন নাই। আমি এটার বিচার চাই, আমার টাকাও চাই।
আবুল বাসার নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, আমাকে কার্ড করে দিবে বলে আমার থেকে ১৯ হাজার টাকা নিয়েছে, সে আমাকে কোন কার্ড করে দেয়নি। আমি আমার টাকা চাই, তার বিচার ও চাই।
জুয়েল, জামাল উদ্দিন, শামসুদ্দিন থেকে ২০০০ টাকা, মোঃ শাহেদ উদ্দিন, জসিম মাঝি, জহির সেরাং, বাবর সেরাং, বাসার, থেকে ৩০০০ হাজার টাকা করে, তারা সবাই বলেন আমাদেরকে জেলে কার্ড, বয়স্ক ভাতা কার্ড, প্রতিবন্ধী কার্ড, ঘর নিয়ে দিবে বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে টাকা নিয়েছে, এবং অনেকের কাছে কার্ড থাকলেও তারা কিছু পায়নি। তারা আরো বলেন হাজার হাজার মানুষ থেকে এইটা ওইটা বলে টাকা নিয়েছে ওই মোজাহের মেম্বার, আমরা সবাই এটার বিচার চাই ও আমাদের টাকা ফেরত চাই।
একই ভাবে নাসির ও সিরাজ উদ্দিন বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিবে বলে আমাদের থেকে দুই হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কাগজপত্র নিয়েছেন কিন্তু কার্ড করে দেন নাই। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।
অভিযুক্ত ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোজাহের উদ্দিন এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন লোকজনের থেকে কোন টাকা নেইনি, আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেউ দিতে পারবে না। একটা চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এ সকল বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুভাগত বিশ্বাস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি হাতিয়া উপজেলায় এসেছি বেশীদিন হয়নি তাই এখানে কোন কোন প্রকলল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তা আমার জানা নেই।