ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা। আর সবচেয়ে বেশি মব জাস্টিসের শিকার হয়েছেন শিক্ষকেরা। যে যেভাবে পেরেছে, শিক্ষকদের ওপর ঝাল মিটিয়েছে। এখনো মেটাচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারীদের সীমাহীন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। লুটপাট করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে ক্ষোভ কমতে থাকে।
আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেন। কিন্তু একশ্রেণির সুবিধাবাদী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছাত্রদের উসকে দেয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। নতুন করে শুরু হয় মব জাস্টিস। আর এর অসহায় শিকার হন শিক্ষকেরা। পৃথিবীর আর কোনো দেশে শিক্ষকেরা এমন অপমান ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কি না সন্দেহ! অবশ্য নানা ছুতোয় শিক্ষকদের অপমান ও নির্যাতনের ধারা আমাদের দেশে কয়েক বছর ধরেই চলছে। মনে পড়ছে নিকট- অতীতের কিছু ঘটনা।
আওয়ামী লীগের শাসনামলের শিক্ষক নির্যাতনের চিত্র দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। প্রতিবাদ করেছি। তখন নানা অজুহাতে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন সংখ্যালঘু শিক্ষকেরা। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শিক্ষক নির্যাতন তীব্র হয়ে ওঠে। আক্রান্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দালালি করেছেন। প্রমোশন পেয়েছেন, পদ বাগিয়েছেন। দাপট দেখিয়েছেন। দুর্নীতি করেছেন। তবে কোনো শিক্ষককেই কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ‘আপনি দালাল, দুর্নীতিবাজ, অতএব পদত্যাগ করুন’ এই ‘মব জাস্টিস’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষককে অপমান করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। কোথাও টেনেহিঁচড়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, চড়-থাপ্পড় মেরে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। কোথাও আবার জুতার মালা পরিয়ে শিক্ষককে ঘোরানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই অগণতান্ত্রিক এবং অরাজক পরিস্থিতিতে তাঁরা দাবি মানতে অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় অনেকে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন। সামাজিকমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা একটি সভ্য সমাজে অকল্পনীয়।
এ কথা ঠিক যে আমাদের এই অবক্ষয়গ্রস্ত সমাজে শিক্ষকেরা ধোয়া তুলসী পাতা নন। অনেক শিক্ষকই সরকারি দলের নির্লজ্জ দালালি করেছেন। কেউ কেউ অন্যায়, দুর্নীতিসহ নানা দুষ্কর্মের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপত্তির কিছু নেই। তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতেই পারে। দলবাজ শিক্ষকদের এটাও বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে দলবাজি শোভন নয়। সংগতও নয়। শিক্ষকের প্রধান ধ্যানজ্ঞান হবে শিক্ষা প্রদান। শিক্ষা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কল্যাণ। কোনো রাজনৈতিক দলের ভক্ত সেজে যদি কেউ কর্মকাণ্ড করতে চান, তাহলে শিক্ষকতা পেশা ত্যাগ করেই তা করা উচিত। শিক্ষক নেতা নন। তাঁরা নেতা তৈরি করেন। তৈরি করেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার প্রয়োজনীয় জনশক্তি।
সমাজে এমন অনেক শিক্ষক আছেন যাঁরা ক্লাসে ঠিকমতো পড়ান না। তাঁরা টিউশনি আর কোচিং সেন্টারে অধিক সময় দেন। যেসব শিক্ষার্থী তাঁদের কাছে প্রাইভেট পড়ে না বা তাঁর কোচিং সেন্টারে যায় না, তাদের কম নম্বর দেওয়া হয়। নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যেসব শিক্ষক যুক্ত, তাঁরা আসলে যেকোনো শাসনামলেই সুবিধা ভোগ করেন। তাঁদের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হওয়ার সংগত কারণ আছে। এসব ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, শিক্ষকদের যেকোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড রোধে প্রাতিষ্ঠানিক বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। শিক্ষা সংস্কারে এসব বিষয়কে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে তাঁদের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়টিও।
কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন না করে ঢালাওভাবে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা, অপমান করা কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উগ্র সমর্থকেরা ধরে নিয়েছেন যে বিগত সরকার সমর্থকদের ওপর যেকোনো অন্যায়-অত্যাচার করলে সেটি অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য হবে না। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষকদের প্রধান টার্গেট করা হয়েছে। যেন যাবতীয় অনিয়ম-দুর্নীতি কেবল শিক্ষকেরাই করে থাকেন।
বিগত সরকারের যাবতীয় অনিয়ম-অপকর্মের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিলেন দেশের আমলারা। তাঁরা কোনো রকম রাখঢাক ছাড়া একেবারে দলীয় কর্মীর চেয়ে অধিক দলবাজ হয়ে সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছেন। নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। জনগণের ম্যান্ডেট না-থাকা সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজেরাই হয়ে উঠেছেন এক-একজন মহাক্ষমতাবান। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কিন্তু তাঁদের দিকে কেউ আঙুল তুলছে না। সচিবালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে তো নয়ই, উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কোনো কর্মকর্তাকেও কেউ শাসায়নি। কেউ বলেনি, এক্ষুনি পদত্যাগ করুন।
তাহলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কেন এত ক্ষোভ? কেন তাঁদের জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে? তাঁরা দুর্বল বলে? দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য? একজন শিক্ষক হিসেবে যাঁদের দায়িত্ব সমাজকে আলোকিত করা, তাঁরা যদি এমন নিপীড়নের শিকার হন, তাহলে আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ কী হবে? এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যেকোনো মূল্যে মব জাস্টিস বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। ইতিমধ্যে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। যে শিক্ষকেরা অপমানিত হয়েছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন, তাঁদের পক্ষে ক্লাসরুমে ফিরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা খুব কঠিন। তারপরও প্রশাসন-শিক্ষক-অভিভাবক- শিক্ষার্থী—সবাই মিলে চেষ্টা করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব নয়। প্রথমেই জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।
কেননা, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভালো মানুষ আছেন। আর যাঁরা সত্যিই দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অভিভাবকদেরও ভূমিকা রয়েছে। মনে রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিষ্পাপ আবেগকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটা স্বার্থান্বেষী মহল ব্যবহার করছে। তাদের কারণেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। এখন তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনার মূল দায়িত্ব অভিভাবকদেরই নিতে হবে।
সাম্প্রতি এই পদত্যাগের হাওয়া নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়ও লেগেছে বাদ যায়নি নামকরা প্রতিষ্ঠানের প্রাধান শিক্ষক গুলোও, এবং বেশ কয়েকজন পদত্যাগ করলেও যারা করেন নি তাদেরকে কেও জোর করে পদত্যাগ করতে চাচ্ছে শিক্ষার্থীরা সহ বেশ করেকটি বহিরাগত মহল, তেমনি একটা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাতিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, হাতিয়ার মূল শহরেই এটার অবস্থান, প্রতিবছরই শুনাম কুড়ায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষকের রেষারেষী, ব্যক্তিগত আক্রোশ, হাসিনা সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়া ইত্যাদি কারনে শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদেরকে উসকানি দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে অধ্যক্ষ এ ইচ এম জিয়ারুল ইসলাম ,গ্রন্থাগারিক প্রভাষক মোঃ জোবায়ের হোসেন এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ খালেদ কে পদত্যাগ করতে বাদ্য করতে। সূত্র বলছে ওনারা তিন জন সরকারি ও সুবিধা নিয়ে চাকরিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন এজন্যই।
জানা যায় অধ্যক্ষ জিয়ারুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ সহ নারী কেলেঙ্কারি, বিগত বছর গুলোতে মাদ্রাসার আয় ব্যায়ের হিসেব, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর সাথে তাল মিলিয়ে লেয়াজু ভাবে চলাচল সহ ইত্যাদি কারনে ছাত্র ছাত্রীরা পদত্যাগ চাচ্ছে। গ্রন্থাগারিক প্রভাষক মোঃ জোবায়ের হোসেন সরকারি সকল ধরনের সঠিক নিয়ম কানুনের বিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
জানা যায় ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের ১ তারিখে প্রভাষক গ্রন্থাগারিক পদে চাকুরীতে যোগদান করে জোবায়ের হোসেন চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে উস্কানি মূলক কথা বলে নিজেরা লিড দিয়ে মিছিল করে। এবং মিছিল নিয়ে হাতিয়া এসিলেন্ট অফিসেও যায় তারা, সেখান থেকে মহামান্য এসিলেন্ট সাহেব বলেছিলেন আপনাদের এই বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নেই যেহেতু হাইকোর্টে একটা মামলা বর্তমানে চলিতেছে। ওই মামলার নোটিশের জবাব জোবায়েরের পক্ষে হওয়ায় ঐ কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এবং সকল পদক্ষেপ তাদের ব্যার্থ হওয়ায় অন্য প্রচেষ্টা অবলম্বন করে। এবং জানা যায় জোবায়েরকে নারি কেলেঙ্কারি মাদক ও অস্ত্রশস্ত্র এবং চাঁদাবাজি দখলবাজির মত এত বাজে বিষয় এগুলো দিয়ে তাকল ফাঁসাতে চাচ্ছে। এই সমস্ত বিষয়ে জোবায়ের গত তিন চার দিন আগে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রসহ কয়েকজন ছাত্র অভিভাবক কে জানিয়েছেন তাকে ঐ কুচক্রী মহল এভাবে ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা করতেছে আপনারা সতর্ক থাকবেন এরপর গত ০৯/১০/২০২৪ তারিখে তারা একটি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে । মিথ্যা অভিযোগ দেয় এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সেইম ক্যটাগরিতে রয়েছেন ল্যাভ এসিস্ট্যান্ট মোঃ খালেদ সাইফুদ্দিন তপু , তাকেও বিভিন্ন অপকর্মের কারনে পদত্যাগ করতে চায় শিক্ষর্থীরা কোনটাই যুক্তি সংগতিপূর্ণ নয়।
দ্যা ঢাকা নিউজ ইনভেস্টিগেশন করে দেখা যায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এই পদত্যাগ আন্দোলন এর বিপক্ষে, এবং এটাও জানা যায় তারা শিক্ষকদের পদত্যাগ চান না। কিন্তু কিছু শিক্ষক এর উসকানির কারনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেই যায়। দেখা যায় বেশিরভাগই শিক্ষার্থী শিক্ষকদের পদত্যাগ চাচ্ছেন না
এই বিষয়ে আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকিফ রশীদ রাফী বলেন, ছাত্র ছাত্রীরা যে সব বিষয়ে নিয়ে তিন জন শিক্ষকের পদত্যাগ চাচ্ছেন, এগুলো একদম অযৌক্তিক। কিছু শিক্ষক ব্যাক্তি গত কারনে ওনাদের পদত্যাগ করাতে চান। আমি সহ আমরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী শিক্ষকদের পদত্যাগ চাই না।
এই বিষয়ে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমি আমরা কোন কারনে শিক্ষকদের পদত্যাগ চাইবো, আমার বাবা মা এগুলো কখনো আমাদেরকে শিখান নাই, যে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যাবো। আমি এই কোন কারন ছাড়া অযৌক্তিক দাবী নিয়ে অন্তত শিক্ষকদের পদত্যাগ চাই না।
এই বিষয়ে মাদ্রাসার আরেক শিক্ষার্থী মুনা আক্তার বৃষ্টি বলেন, আন্দোলন চলাকালীন জুবায়ের হুজুর এর বাসায় আমরা ৬ জন ছিলাম আমাদের ওনি বাসায় ডাকে, তার পর ওনি ওনার নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন লিগালে তখন ওনার সকল ডকুমেন্টস গুলো আমাদেরকে দেখায় তখন ফাতেমা আক্তার প্রমি ও উপস্থিত ছিলো, হুজুর আমাদেরকে বা প্রমিকে তেমন কিছু বলেন নাই, এবং এখানে আমার আম্মু ও ছিলো , আর আমি এবং আমরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে না, আমরা জুবায়ের হুজুর সহ কারো পদত্যাগ চাই না।
মুনা আক্তার বৃষ্টির আম্মু গার্ডিয়ান হিসেবে বলেন, ব্যাক্তি গত শিক্ষকদের মধ্যে রেষারেষি থাকতে পারে তাই বলে শিক্ষার্থীদের কে উসকা দিয়ে শিক্ষকদের পদত্যাগ চাওয়া অযৌক্তিক। আমি একজন গার্ডিয়ান হিসেবে এটা কখনোই চাই না। এবং শিক্ষার্থীদেরকে বলবো যেন এসব অযৌক্তিক পদত্যাগ দাবি না করে ক্লাসে মনোযোগ দেওয়ার জন্য।
এই বিষয়ে বিচারের দাবী চাওয়া প্রমির বাবা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের কান্না দেখে আর আমার মেয়েকে দমক, কটুকথা শুনিয়েছে জুবায়ের ও তার স্ত্রী এজন্য দরখাস্ত দিয়েছি, আমার সাথে ওনাদের পারিবারিক কোন ঝামেলা নেই, আর আমি ওনাদের পদত্যাগ চাই না, আমিও আমার দরখাস্ত উঠিয়ে নিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চা দোকানদার বলেন, এই জুবায়ের সহ যে গুলার পদত্যাগ পোলাপানে চায়, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া, এরা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ হওয়ার করনে ছাত্ররা পদত্যাগ চা, এটা ভুয়া, আমরা পদত্যাগ চাই না।
সোনিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হুজুরদের পদত্যাগ নাই না, একটা মহল ওনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে।
রাহমানিয়া মাদ্রাসারর সাবেক শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানোটা এন্ডিং হয়ে গেছে, আমরা চাইনা শিক্ষকরা হেনস্তার শিকার হোক, এবং সুষ্ঠুভাবে সমস্যার সমাধান হোক, আর আমরা শিক্ষকদের পদত্যাগ চাই না।
এই সব কিছু বিষয়ে কথা বলেছি সম্মানিত ব্যাক্তি ও অত্র মাদ্রাসার সহ অধ্যাপক জনাব কাজী আবদুর রহিম সাহেবের সাথে, তিনি বলেন অত্র মাদ্রাসার বিগত বছর গুলোর আয় ব্যায়ের সম্পূর্ণ হিসেব, আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন
কারনে তাদের পদত্যাগ চাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আমি চাই শিক্ষার্থীরা যেটা ভালো করেন সেটাই করবেন। তিনি আরো বলেন বর্তমান অধ্যক্ষ টাকা নিয়ে অনেককে চাকরি দিয়েছেন, এবং একজন গ্রন্থাকার কে মৃত দেখিয়ে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয় জুবায়েরকে। এই নিয়ে তাদের হাই কোর্টে মামলা চলমান। আশা করি এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভাববেন। সেই হিসেবে আমরাও চাই তাদের পদত্যাগ।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চাচ্ছে সেই কারণ গুলোই তো স্পষ্ট নয়।
কে বা কারা শিক্ষার্থীদেকে উসকিয়ে দিচ্ছে আমি সেটাও জানি না, আর আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সবই মিথ্যা।
আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি সবাইকে আন্দোলন বন্ধ করে, ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছিছি।
গ্রন্থাগারিক প্রভাষক মোঃ জোবায়ের হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করছে, আমার কাছে হাই কোর্টের পারমিশন রয়েছে, আমি কখনো কারো সাথে এমন কোন কাজ করিনি যে তারা আমার পদত্যাগ চাইবে। আমি লিগাল ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছি। কে বা কারা শিক্ষার্থীদেরকে উসকিয়ে দিচ্ছে আমি তা জানি না।