নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে বাজার সংলগ্ন এলাকায় মানুষের ফসলি জমি ও বাড়ী ঘরের নর্দমার পানি চলাচলের সরকারি খালের উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মার্কেট নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার (৮ অক্টেবর) সকাল এগারোটায় জাহাজমারা বাজারে নির্মাণাধীন মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
পানি নিস্কাসনের সরকারি খাল ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে খাল দখল পূর্বক বহুতল মার্কেট নির্মাণের বিরুদ্ধে নৌ-কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ও সহকারী কমিশনার ভূমি কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যত তেমন কোন সুরাহ হয়নি।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ভুক্তভোগীরা বলেন, পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের সমর্থনপুষ্ট স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুম বিল্ল্যাহ তার সিন্ডিকেট বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বাজারের মাঝখানে সরকারি খালে পানির প্রবাহ বন্ধ করে অবৈধভাবে বহুতল মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
ফলে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মানুষের বাড়ীঘর, ফসলি জমি সম্পূর্ণরূপে পানিতে ডুবে গিয়ে এক অমানবিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তারা আরো বলেন, দীর্ঘদিন তিনি ক্ষমতার বলয়ে থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন এই খালটির সংস্কারের কাজ বন্ধ রেখেছেন।
ক্ষমতার পালাবদলেও তিনি অন্তরালে থেকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বর্তমান প্রভাবশালীদের সাথে সক্ষতা বজায় রেখে খালের উপর মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। এলাকায় জলাবদ্ধতায় ভুক্তভোগী মো. মাইনউদ্দিন জানান, আমার ৭০ একর ফসলি জমি সহ এখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর জমি জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এমনকি শীতকালীন ফসলও আর করা হয়ে উঠেনা।
ভুক্তভোগী জহির উদ্দিন জানান, বর্ষাকালে এলাকার ৫০টি বাড়ীঘরের আশপাশ জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগের অন্তঃ থাকে না প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কর্তৃক খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত মার্কেটের কারণে।
জাহাজমারা ইউনিয়নের সহকারী ইউনিয়ন ভূমিকর্তা গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, খালটি ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ারধীন। মার্কেটটিও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হওয়ায় তারা তাদের মত কাজ করেছে। তবে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি বিষয়টি অবগত হয়ে মার্কেট কমিটিকে খালের উপর নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। তারা দেওয়ালের আংশিক ভেঙ্গে খালের উপর পুরো স্থাপনা অক্ষুন্ন রেখে দেন।
হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন চাকমা এ বিষয়ে বলেন, তাদেরকে বলা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ অবকাঠামো ভেঙ্গে ফেলতে। এরপরও যদি তারা তা না মেনে চলে তবে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।