সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পতনের পর কোন ঠাশা হয়ে পড়ে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
বড় বড় নেতারা গ্রেফতার হলেও তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেকটাই স্তব্ধ হয়ে আছে, বেশিরভাগই নিজের বসতবাড়িতে অবস্থান না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এমনটাই দেখা গেছে হাতিয়ার বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মীকেই। সেই সুবাদে এখন শাসন করছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দেখা যায় অনেকেই বিএনপির নাম করে, এবং অনেকের দলীয় পদ রয়েছে এই নামকে কেস করে প্রতিনিয়ত শুরু করে চলেছে চাঁদাবাজিও টেন্ডারবাজী। অনেকে বলে ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করে এসেছে, আমরা এখন কেন করবো না, এখনো আমাদের সুযোগ, অথচ এখনো ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে নেই বিএনপি।
হাতিয়ার সব চেয়ে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অন্যতম একটা খাত হলো নৌপথ, দেখা যায় এখনো বিভিন্ন উপায়ে চলছে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসা, যা এখনো নিয়ন্ত্রণ করছে পুরাতন সহ নতুন একটা মহল। যেটা কেউ দেখেও দেখছে না।
জানা যায় গত ০১/০৯/২০২৪ রোজ রবিবার হাতিয়ার সাবেক এমপি ফজলুল আজিমের আগমনে হাতিয়া হোন্ডা শোডাউন হয়, এবং হাজার হাজার কর্মী ভিড় করে তার বাসভবনে, অনেকেই অভিযোগ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা হোন্ডার তেল ভরতেও চাঁদাবাজি করে।
হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের বিএনপির সভাপতি আনোয়ারের নেতৃত্বে রমরমা চাঁদাবাজি করছে তার সাথের কর্মীরা, নিঝুম দ্বীপের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত যুবদল নেতা আশ্রাব, আবু মাঝি, সাহেদ মেম্বার, সমীর, আকবর হোসেন বেচু, আনোয়ার হোসেন, রাসেল ডাক্তার, মোতালেব, আনসার সহ আরো অনেকে।
নামার বাজার খবির মেম্বার, সারোয়ার পাটি , আব্দুল আলী পার্টি কেফায়েত পার্টির মাছের আড়ৎ দখলে নিয়ে জেলেদের জিম্মি করে কম মূল্যে মাছ কিনে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন সাবেক মেম্বার ও ইব্রাহিম পাটি।
সাম্প্রতি নিঝুম দ্বীপের বিএনপির আনোয়ার, সরকার প্রতনের পর প্রায় ৮-১০ টা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়, প্রশাসন এ বিষয়ে তাকে বার বার সিগনাল নোটিশ দেয়, তার পরও খুলে দেয়নি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট গুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, আমাদের থেকে সব সময় টাকা নিতে আসে এবং না দিলে গালি গালাজ করে এই সাহেদ মেম্বার, এবং হোন্ডা শো ডাউন দিবে আমাদের থেকে ২ হাজার, এক হাজার করে নিছে, বলতেছে তেল ভরতে হবে।
এক ব্যবসায়ী দ্যা ঢাকা নিউজ কে বলেনঃ আমার কাছে সদায় নিয়ে যায় এই আনোয়ার তার পরে আর টাকা দেয় না,এবং অনেক দোকান বন্ধ রেখেছে আমার, এখনো অনেক জনের দোকান বন্ধ করে রেখেছে।
এই বিষয়ে আনোয়ার দ্যা ঢাকা নিউজ কে জানান, আমি কখনো করো থেকে চাঁদা টাদা তুলি নাই, এবং কাউকে এগুলো করেতও দি না, যারা বলছে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ও মিথ্যাচার করে।
সাহেদ মেম্বার দ্যা ঢাকা নিউজ কে জানান- কে কইছে আপনাকে নাম বলেন তার, তাকে দেখে নিবো, মোকাবিলা করান ইত্যাদি ইত্যাদি, তবে তিনিও বিষয়টি অস্বীকার করছেন।
সব বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য, হাতিয়া বিএনপি ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিবকে বার বার কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেনি।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব আলাউদ্দিন দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেনঃ দেশে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি যারা করে তাদের স্থান দলে নেই, এটা সম্মানিত তারেক রহমানের নির্দেশ, এবং কিছু বিতর্কীত মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে। তবে এটা যদি সত্য হয় তাহলে দল কঠোর অবস্থানে থাকবে এবং দমন করবে।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিসান আহমেদ দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেনঃ এই বিষয়ে এখনো আমরা কোন তথ্য পাইনি তবে তথ্য পেলে আমরা পদক্ষেপ নিব। আর বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিলো সেগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, তার পর আমাদের কাছে আর কোন তথ্য আসে নি। এই সব বিষয়ে আনোয়ার কে আমরা একবার সতর্ক করে আসছি।
হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেনঃ আমরা চাঁদাবাজি এখনো কোন তথ্য পাইনি তবে আমাদের কাছে তথ্য আসলে আমরা মুক্ত হস্তে দমন করব।