হাতিয়ায় স্কুল ছাত্র আল নাহিয়ান সাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখনো কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। উপরন্তু থানায় মামলা করার ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও বাদীর পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছে আসামীরা। সন্ত্রাসী হামলার শিকার আল নাহিয়ান সাদী আফাজিয়া এলাকার আকবর হোসেন নিপুর ছেলে। সে আফাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
মামলার বাদী আল নাহিয়ান সাদীর মা ফারজানা বেগম শাবনাজ জানান, গত শনিবার বিকেলে তালুকদারগ্রাম পুকুররের পাশে নদীর স্লোপে ক্রিকেট খেলাকালীন সময়ে পরিকল্পিতভাবে গায়ে বল পড়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাদীকে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পর এবং লাঠিদিয়ে আঘাত করে হাত ভেঙ্গে নদীতে ফেলে দেয়। কয়েকজন নদীতে নেমে তাকে কিল ঘুষি মেরে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
পরে অন্য ছেলেদের চিৎকারে আমি এবং আমার শাশুড়ী তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে এবং গালমন্দ করে। এসময় তারা আমার সাথে থাকা মোবাইল গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আকবর হোসেন নিপু বলেন, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা এ হামলা করেছে। আমার স্ত্রী এ ঘটনায় জড়িত ১১ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় মামলা করে। এত বড় একটা সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নাই। আসামীরা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
হাতিয়া থানা সুত্রে জানা যায়, আসামী সাজু, আজিম, আশিক, মাকছুদ, বাসু সহ অন্যান্য আসামীরা হত্যা সহ বিভিন্ন মামলায় এজহারভূক্ত আসামী। এলাকাবাসী জানান, তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। দিনে দুপুরে একটা ছেলেকে মেরে ফেলতে চেয়েছে, কিন্তু এখনো প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছেনা। আসামীরা বুক ফুলিয়ে এলাকায় হেটে বেড়াচ্ছে।
হাতিয়া থানা ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, পূজার কারণে আমরা ব্যস্ত সময় পার করলেও আসামীদের গ্রেপ্তারের আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।