হাতিয়ায় আওয়ামীলীগের প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় লুট ভাংচুর অগ্নিসংযোগ খাল দখল জমি দখল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন সহ চাঁদা বাণিজ্য, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা সহ ওয়ারিশি সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে বছরের পর বছর ভোগ করার এবং এখনো এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম নবীরের বিরুদ্ধে।
এমন কি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র পরিচয়ে বিচারিক রায় নিজের পক্ষে নেওয়ার জন্য থানার ওসিকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ ও রয়েছে হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুস শহীদের ছেলে আবুল কাশেম নবীরের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে জুলেখা বেগম নামে এক ভোক্তভোগী হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, জোর জুলুমবাজ অন্যায় অত্যাচারী মাস্তান, নবীর আমার সম্পর্কে ভাতিজা হয়, আমার বড় ভাই মৃত মোঃ আবদুস শহিদ জিবিত থাকা অবস্থায় আমার পিতার এবং দাদার সম্পত্তি ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া আমার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও দেয় নাই। আমার বড় ভাই মৃত্যুর পূর্বে আমাকে আমার সম্পত্তি বুঝিয়ে দিবে বলে অনেক বার কথা দেয়। কিন্তু দূর্ভাগ্য বসত তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পূর্বে ওনার ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে বারবার বলে গেছেন আমার বোনের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিবে। আমার ভাই ২০২১ইং সালে মারা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে আমি আমার ভাতিজাকে আমার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বললে দিবে দিবে বলে কাল ক্ষেপন করে। এই নিয়ে এলাকার কমিশনার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে তিন তিনবার শালিশী বৈঠক হয়। তৃতীয় বার বৈঠকে বসলে বিবাদী ও তার কয়েকজন একদলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী চৌমুহনী বাজারে আমার ও আমার ছেলে মেয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে মারপিঠ করতে এগিয়ে আসে। তৎক্ষনাত স্থানীয় সাবউদ্দিন কমিশনার এবং মোঃ ছিদ্দিক মিয়া ও অন্যান্য লোকের সহযোগিতায় আমরা নবীরের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যাই। তার পর থেকে নবীরের ভয়ে আমরা আর কোন বৈঠক বসতে পারি নাই।
বিগত ১১ সেপ্টেম্বর ২৪ তারিখে হাতিয়া কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কার্যালয়ে দরখাস্ত জমা দেওয়ার পর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মৌখিক ভাবে চৌমুহনী বাজারের সভাপতি আলহাজ্ব ছিদ্দিক মিয়াকে মিমাংসা করার জন্য দায়িত্ব দেয়। কিন্তু আলহাজ্ব সিদ্দিক মিয়া আমার এবং নবীরের সাথে আলোচনা করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় এক শালিসী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এবং ঐ দিন নবীর কোন শালিসী বৈঠকে বসবে না বলে প্রত্যাখান করেন। নবীর সম্পত্তি দিবেনা বলে হুকমি দেয়। অদ্য ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ শনিবার দুপুর ২.০০ ঘটিকার সময় উক্ত শালিসদারগন উক্ত বিষয় কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কে অবহিত করা পর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার স্যার মৌখিক ভাবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
জানা যায়, হাতিয়া থানায় ও দু’পক্ষের সালিশদার ও ডকুমেন্টস সহ বৈঠক করে। সেখানে জুলেখা বেগমের পক্ষ থেকে যাবতীয় ডকুমেন্টস দেখালেও নবীর কোন ডকুমেন্টস দেখাতে পারে নি। তবুও নবীর কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে বৈষম্য বিরোধী নাম ব্যবহার করে সালিশ ও মামলার রায় তার পক্ষে নেওয়ার জন্য হাতিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ারকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম নবীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান, আমাকে কোর্ট থেকে যা রায় দিবে আমি মেনে নিবো, আর আমার ফুফু জোলেখা বেগম আমার কাছে একবার সম্পত্তি নিয়ে আবার বিক্রি করছেন আমার কাছে ডকুমেন্টস রয়েছে। আর আমি এখানে কাউকে হাত করিনি, ওসিকে কারো মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, তাকে কয়েকবার থানায় ডাকা হয়েছে, সে তার ডকুমেন্টস গুলো দেখাতে পারেন নি। এবং সে সময় চাইলে তাকে সময় দেওয়া হয়েছে তবুও ডকুমেন্টস গুলো হাজির করে নাই। তার পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য আমার হোয়াটসঅ্যাপে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র পরিচয়ে হুমকি দেয়।