কিছুটা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছে যাত্রাবাড়ী এলাকার মানুষ

📄🖋: নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে
|যাত্রাবাড়ী এলাকা

জুনের প্রথম সপ্তাহের দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। রায় আসার পরদিন থেকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। জুলাইয়ে এসে সেই বিক্ষোভের মাত্রা বেড়ে যায়।

এক পর্যায়ে অচল হয়ে পড়ে পুরো রাজধানী সহ পুরা দেশে। ঢাকার যেসব এলাকায় বেশি সংঘাত হয় তার মধ্যে অন্যতম যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, হতাহত হয় অনেক । হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী কাজলা পাড়ের দুটি টোল প্লাজা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ভয়ে-আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ পুরো এক সপ্তাহ ছিলেন ঘরবন্দী। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে । সেই সঙ্গে রয়ে গেছে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন।

সরেজমিনে আমরা যাত্রাবাড়ী,কাজলা ও শনির আখড়া এলাকা ঘুরে ও এসব এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

শনির আখড়ায় কথা হয় একজন স্থানীয় বিক্রেতার সাথে । তিনি বলেন, ৭/৮ দিন পরে দোকান খুলেছি। গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে ভয়ে ঘর থেকে বের হইনি। খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এখনও ৫টায় পুলিশ দোকান বন্ধ করতে বলে। আমরা নির্ভয়ে ব্যবসা করতে চাই।

একই এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী রুবেল হোসেন বলেন, কয়েকদিন যে কী আতঙ্কে দিন পার করেছি তা বলে বোঝাতে পারব না।পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে ১৯ ও ২০ জুলাই এক মুহূর্তের জন্যও নিচে নামিনি। খুব কষ্টে দিন পার করেছি। সহিংসতার কথা মনে হলে এখনও ভয় করে। তবে সেনাবাহিনী থাকার ফলে আতঙ্ক কেটে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেছে বলে তিনি জানিয়েছে ।

  • কোটা
  • ছাত্র আন্দোলন