৫ম শ্রেনীর বিদায় অনুষ্ঠানে ছাত্রীরা শাড়ী পরে আসাতে ছাত্রীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শরীরে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ বোয়ালিয়া মাজেদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমরান খানের বিরুদ্ধে।
জানা যায় গত ১১ ডিসেম্বর ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, আনন্দ উৎসবে মুখরিত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দ মতো ড্রেস ও শাড়ি পরে আসে, এতে করে উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমরান খান শিক্ষার্থীদেরকে মারতে মারতে স্কুল থেকে বের করে দেয় এবং তাদের শরীরে হাত ও তোলেন।
ছাত্রীরা বলছেন, আমরা কেন সাজগোজ করে স্কুলে আসলাম এজন্য আমাদের শরীরে হাত তোলেন। এই বিষয়ে আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দিয়েছি, তিনিও কোন কথা বলেন নি।
একজন ছাত্রীর ভাই বলেন , আমার বোন এই স্কুলে পড়ে বিদায় অনুষ্ঠানের দিন, বিদায়ের দিন আমার বোন শাড়ী পরতেই পারে তাই বলে কি তিনি হাত তুলবেন। আমার বোনের শরীরে হাত তোলার কোন কারণ দেখি না। কোন কারণ ছাড়াই আমার বোনের শরীরে হাত তুলেছে এটাই বিচার চাই।
এই বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ইমরান খানকে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করে নি, তাই তার মন্তব্য নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোরশেদা বেগম জানান, ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে চলেন ইমরান খান তাই তিনি ছাত্রীদের উপর চড়াও হয়েছেন এবং শরীরে ও হাত তুলেছেন, আমি অনেক বুঝিয়ে বলেছি ওনাকে, তবে ওনি এটা অন্যায় করেছে।
এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল জব্বার জানান, আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসে নি, এটা খুবই দুঃখ জনক, আমি এটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।