সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে

📄🖋: মামুন রাফী, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে
দুই ভাই হাজী কাশেম ও কাজল সেট

আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় লুট ভাংচুর অগ্নিসংযোগ খাল দখল জমি দখল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন সহ চাঁদা বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের রামচরন এলাকার দুই ভাই হাজী কাশেম ও কাজল সেটের বিরুদ্ধে।

জানা যায় উত্তরাঞ্চল সহ হাতিয়ায় কাজল সেট ও হাজী কাশেম এর দৌরাত্ম্য বিস্তার রয়েছে। কাজল হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ডান হাত বাম হাত হয়ে কাজ করতো। কাজলের আরেক ভাই হাজী কাশেম। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বহু অভিযোগ এলাকায় দখল, লুটপাট, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত তাদের এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা।

বিগত সরকার আমলে আওয়ামিলীগের দলীয় প্রভাব বিস্তার করে একই কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছিল। আওয়ামী নেতাদের অস্তিত্ব এখন প্রায় বিলীন হলেও হাজী কাশেম ও কাজল সেটের দাপট আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাটে ঘাটে এরা দলীয় লীগের প্রভাব বিস্তার করে হাতিয়া সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন অপকর্মে ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। তাদের এসব কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী বহুবার মোহাম্মদ আলীর কাছে গেলেও কোন সুরাহা পাননি তারা। তাদের দাপটে স্থানীয়রা মুখ খুলতে পারে না।

এই হাজী কাশেম ও কাজল সেটের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে জানলেও হাতিয়া প্রশাসনের কোন রিয়েকশন নেই বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। হাজি কাশেম সাধারণ মানুষদের জমি দখল করে প্রথমে কিছু টাকা দেয় ভুক্তভোগীকে পরে আর কোন টাকা না দিয়ে উল্টো সালিশ বসিয়ে সাধারণ মানুষদের অর্থ আত্মসাৎ ও ভূমি দখল করে নেয়। তার মিষ্টি কথার আড়ালে রয়েছে বিষ।

জানা যায় জাহাজমারা বাজারের মার্কেটও তিনি জোর করে প্রশাসন কর্মকর্তাদের দিয়ে দখল করেন নাম দেন কাশেম মার্কেট। ওয়ান এলেভেনের সময় হাজী কাশেম নৌবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ আটক হন। জানা যায় নৌবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা তার আত্নীয়, তাকে আঁতাত করে তিনি হাতিয়ার দায়িত্বরত নৌবাহিনী দিয়ে সাধারণ জনগণের উপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জমি গুলো দখল করারও অভিযোগ সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী কামাল বলেন, আমি জাহাজমারা ইউনিয়নের সার ডিলার, হাজী কাশেম আমার নিকট জমি বিক্রির কথা বলে টাকা নিলেও পরবর্তীতে তিনি টাকা এবং জমি কোনটাই দেননি। তিনি তার কিছু ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে শালিশ বসিয়ে রায় তার পক্ষে নিয়ে যায়। এভাবে এ হাজী কাশেম মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। বর্তমানে কাজল সেটের এলাকায় কিছুদিন আগে অভিযান দিলে নৌবাহিনী সেখানে অস্ত্র পান এ অস্ত্র কাজল সেট তথা হাজী কাশেমের বলে জানান। তিনি আরো বলেন নৌবাহিনী হাজী কাশেম ও কাজল সেট ২ জনের একজনকে ও গ্রেপ্তার না করে উল্টো তাদেরকে ভালোবাসা দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এই বিষয়ে হাজী কাশেম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ দিয়েছে সবই মিথ্যা ও বানোয়াট।

এই বিষয়ে হাতিয়া থানা কর্মকর্তা ওসি তৌহিদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে আমরা আইনি ব্যবস্থা দিব।

  • হাতিয়া