বর্তমান সময়ের বেশ আলোচিত একটা বিষয়। নারী কিন্তু কারও নাম নয়, মানুষ জাতির দুটো বিভাজিত রূপের একটি। সৃষ্টির আদি থেকেই যাদের সহ বস্থান। একটি অন্যটির পরিপূরক। সেই নারীদের নিয়েই কিন্তু প্রতিনিয়ত ট্রল হচ্ছে। সেই নারীদের মধ্যে কিন্তু আপনাদের মা,মেয়ে,বোন, স্ত্রী সবাই আছে তাহলে, কাকে আটকে থাকার কথা বলছেন? আপনার মা কেন আটকে ছিল?আপনার স্ত্রী কেন আটকে আছে? আপনার মেয়ে কেন আটকে থাকবে? নারী নামক শব্দটা নিয়ে ট্রল করতে গিয়ে সর্ব প্রথম অপমান আর অশ্রদ্ধা করছেন আপনার কাছের নারীদের কে।
যাদের কারো গর্ভে আপনার জম্ম। তাদের স্নেহ ভালোবাসায় আপনি বেড়ে উঠেছেন। উদাহরণ হিসেবে টেনে আনছেন এমন কিছু মানুষ কে, যারা জীবন যাপন কি়ংবা চলাফেরায় আর দশজন সাধারণ মানুষের মত নয়। যাদের বেশির ভাগই সেলিব্রিটি, উচ্চপদস্থ ব্যাক্তি, আর্থিক ভাবে কিংবা ক্ষমতায় তাদের কেউ কারো থেকে তেমন কম না।
অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী কিছু মানুষ। যারা বিত্ত কে ছেঁড়া কাগজের মত ব্যবহার করে। যারা স্বপ্নের মত রঙিন দুনিয়ায় বসবাস করে। এখানে সবগুলো ডিভোর্স কি নারীরাই দিয়েছে? কোন মিউচুয়াল ডিভোর্স ছিলনা? নাকি পুরুষেরা ডিভোর্স দেয় না? ওই মুষ্টিমেয় মানুষ গুলো কে উদাহরনে না এনে যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আপনাদের চারপাশে আছে তাদের কথা বলুন না, রহিমা, জরিনা, ছকিনাদের সংসারের কথা বলুন। ওরা কিল, চড়, লাথি হজম করে ও অনাহারে, অর্ধাহারে,অপমানে, লাঞ্চনায়, দারিদ্রতার চূড়ান্ত সীমায় গিয়ে ও সংসার টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
আপনার পাশের মানুষ টি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয় “পুরুষ কিসে আটকায় “তাহলে আপনার সংসার ওই উদাহরণ এর মানুষ গুলোর মত হবে।
স্ত্রীর এরকম স্ট্যাটাস সহ্য করার মত মানষিক শক্তি আপনাদের নেই। ব্যাতিক্রম কখনও উদাহরণ হয়না। তাই পাশের মানুষটিকে আটকে রাখুন স্নেহ, মমতা,বিশ্বাস আর ভালোবাসায়। কারন নারী আটকে থাকে ভালোবাসায়, স্নেহে, যোগ্য সম্মান, আর সহমর্মিতায়। আটকে থাকে বিশ্বাস, আর ভরসায়।।
লেখিকা, সহকারী শিক্ষিকা, পূর্ব চরকৈলাশ আলী আজ্জম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিয়া, নোয়াখালী