সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা ব্যতিক্রমধর্মী সাহসী লেখক মামুন রাফী

📄🖋: তানজিদ শুভ্র
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

সব সময় ব্যতিক্রমধর্মী লেখা ও কথা বলা মানুষ মামুন রাফী।

লেখালেখির শুরুটা ২০১১ সাল কিশোর কন্ঠ দিয়ে, সেখান থেকেই উত্থান। এরপর অন্য কিছু ভাবেননি। নিজেকে আপাদমস্তক লেখক হিসেবেই জাহির করেন পাঠকের সামনে। হয়েছেন এখনকার সময়ের জনপ্রিয় একজন লেখক। পত্র পত্রিকায়,নিউজ পোর্টালে লিখেছেন শতাধিক আর্টিকেল ও কলাম, এবং সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা ক্যানভাস, দৈনিক ক্রাইম তালাশ ও দৈনিক এশিয়াতে।

জন্ম নিঝুম দ্বীপের দেশ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায়। তাঁর বাবা ফয়েজ উদ্দিন,পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে মামুন রাফী চতুর্থ। ছোট্ট বেলা থেকেই সে তীক্ষ্ণ মেধাবী, শৈশব কৈশোর বেশির ভাগই কাটিয়ে নানা-নানীর বাড়িতে। সাহিত্যের পোকা ছোট্টবেলা থেকেই তার মস্তিকে গেঁথে ছিল, সেই পাঠ্যবইয়ের গল্প থেকে সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসা জন্মে। ছোটোবেলা থেকে লেখালেখির প্রতি ভীষণ ঝোঁক ও ভালোবাসা প্রচুর। সেই ভালোবাসা থেকেই কলমের এক দু’ফোঁটা কালির আঁচড়ে সাজান গদ্য-পদ্য। নিয়মিত লেখেন দেশের জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে, আছেন সাংবাদিকতা পেশায় ও, নিজের সবটুকুন আবেগ ভালোবাসা দিয়ে লিখেন প্রতিটি লাইন-বাক্য। তাঁর লেখা সাদামাটা ও ঝরঝরে।

যেন অদ্ভুত রকমের জাদু রয়েছে এই মানুষটির লেখায়।  মামুন রাফীর প্রথম বই নীল রহস্য অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩-এ নব সাহিত্য প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এটি একটি কাব্য গ্রন্থ, কাব্য গ্রন্থ পাঠক মহলে খুব সাড়া ফেললে পরের বছরেরই ঐক্যতান প্রকাশন থেকে তিনি থ্রিলার গল্প “রহস্যের মায়াজাল” প্রকাশ করেন। বইটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বইটির সফলতার জন্য পাঠকমহলে লেখক বেশ প্রংশসিত হয়েছেন। তাঁর লেখা পড়লে এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে। তাঁর প্রতিটি লেখা গিয়ে রেখা টানে মনের অতল গহীনে! তাঁর লেখা গল্প-ছড়া- কবিতা সহ বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে কালাম দেশের জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, অনলাইন নিউজ পোর্টালে, বরাবর প্রকাশ হয়ে আসছে। শুরুটা কেমন ছিলো জানতে চাইলে বলেন- এখন আমার চলার পথ সরল হলেও একটা সময় ভিষণ বাঁকা ছিল, অজস্র বাঁধা ছিল। বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে এমনকি অনেক আত্মীয় স্বজনরা আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করত, লেখালেখি করে কি আর সংসার হবে তার চেয়ে বরং তুমি সময়টা কাজে লাগাও এমন অসংখ্য মন্তব্য আমাকে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে দেয়নি, ভীষণ হতাশায় শেষ হতে চলছিল আমার সাহিত্য যাত্রা। সেই হতাশায় থেকে অবশেষে বের হতে পেরেছি।