নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবৈধ ভাবে খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে হাতিয়া পৌরসভার বাসিন্দাদের। মূলত খাল-নালা দখল দূষণে নামছে না পানি। এছাড়া অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাকেও দায়ী করছেন বাসিন্দারা।
জানা যায়, হাতিয়া পৌরসভা ওছখালী শহরের প্রাণ কেন্দ্রের ডিসি রোড সংলগ্ন মার্টিন খাল। মারকাজ থেকে
এমপির পোল লক্ষীদিয়া খাল সরকারি খাল দখল করে, মার্কেট ও বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। অন্তত শতাধিক দোকান ও কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে দখলে আছেন প্রভাবশালী কয়েকটি মহল।
মেইন রোড সংলগ্ন মার্টিন খাল ও লক্ষীদিয়া খাল দিয়ে উপজেলার পানি নিষ্কাশন হয়। এই খাল গুলো প্রভাবশালী কয়েকটি মহল দখল করে দোকান, পাট, শপিং মল, মার্কেট ইত্যাদি নির্মাণ করে, কিন্তু এসব খাল অবৈধ দখল ও খাল খননে অনিয়মের কারণে বৃষ্টির পানি নামছে না। ওছখালী শহরের বাসিন্দারা পায়নি আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা। এ কারণে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী, স্বজন, চিকিৎসকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিত ও আধুনিক খাল বা নালা তৈরির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওছখালী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এমন অনিয়ম হলেও ব্যবস্থা নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখযোগ্য দোকানগুলোর মালিকের নাম প্রফেসর শাহাদাত, জাকের কল দোকানদার, আকরাম কল দোকানদার, হাতিয়া সুপার মার্কেট, শাহজাহান সুপার মার্কেট, মনির উদ্দিন কাউন্সিলর, সৈয়দ আহমদ মুদি দোকানদার, আবুল খায়ের চা দোকানদার, ভূষণ লন্ডি বিটু মিয়া ,লিলন মিয়া, রামো ফার্মেসি, আলাউদ্দিন দোকানদার। এবং মামুন মিয়া সহ আরো অসংখ্য দোকান সহ মালিক রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার একজন স্থায়ী বাসিন্দা বলেন, মেইন রোড সংলগ্ন মার্টিন খাল ও লক্ষীদিয়া খাল দিয়ে পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু খালগুলো ঠিকমতো খনন হয়নি এবং হচ্ছে ও না ফলে পানি নামছে না। এছাড়া খাল গুলো দখল করে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, দেওয়াতে পানি গুলো নামছে না। ব্রিজের নিচে মাটি ভরাট হয়ে আছে। আমরা বিষয়গুলো দেখলেও কাকে জানাবো, সবাই একেকজন প্রভাবশালী, বড় বড় আমলাদের সাথে উঠাবসা। আমাদের কথা হলো ঠিকমতো পানি না নামলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবেই এটাই স্বাভাবিক। ওনারা দাপটে দেখিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে দোকান পাট শপিং মল তৈরি করেন, অথচ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার ওছখালী শহরের কয়েকজন বাসিন্দা দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, এই মার্কেট, দোকান সব কিছুই পরিকল্পিত ভাবেই তারা করেছে। খাল গুলোর অবস্থা খুবই বাজে অবস্থা, এবং পরিকল্পিত ব্যবস্থা না হলে পৌরসভায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে। আমরা স্থায়ী ভাবে মিমাংসা চাই।
এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড সাহেব পদক্ষেপ নিলে তাহলে আমরা পুলিশ ফোর্স দিয়ে সহযোগিতা করবো।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা বলেনঃ যারা অবৈধভাবে খাল, জায়গা দখল করে ভোগ করছে আমরা অতি শীঘ্রই পদক্ষেপ নিব। আমরা প্রথমে তাদেরকে সময় ও সতর্ক করে আসবো যদি না শুনে তাহলে আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।