ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। সোমবার সকালে সংগঠনটি দাবি করেছে যে, ইসরায়েলে ৩২০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সোমবার একটি বিবৃতিতে, ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠীটি জানায় যে, তারা শত শত কাতিউশা রকেট দিয়ে উত্তর ইসরায়েলের ১১টি সামরিক স্থানে হামলা চালিয়েছে। খবরটি প্রকাশ করেছে বিবিসি।
এই হামলাকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর আক্রমণের “প্রথম পর্যায়” হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি। তারা জানায়, গত ৩০ জুলাই হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহ জানায়, “এই হামলাটি ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান এবং কাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রাথমিক পর্যায়। পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।”
এদিকে, এই হামলার হুমকির জবাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আগেই হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) রোববার ভোরে এই হামলার ঘোষণা দেয়।
অন্যদিকে, এই হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
জরুরি অবস্থার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনসমাগম সীমিত করা এবং নির্ধারিত এলাকায় চলাফেরা না করা।
এছাড়া ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য সাইরেন বাজানো হয়েছে এবং আকাশ হামলা থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।
তবে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।