হাতিয়ায় সাংবাদিকের বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

📄🖋: মামুন রাফী, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে
হাতিয়ায় সাংবাদিকের বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

হাতিয়া উপজেলার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দৈনিক যুগান্তর হাতিয়া প্রতিনিধির বাবা হাজী মোস্তফা মিয়া (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার ভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বৃদ্ধের মেয়ের জামাই নুরুদ্দিন (৩৩) নামের এক লোক, দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্বক আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ কম্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা উভয়ে বর্তমানে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহতরা হলেন, হাতিয়া রেহানিয়া ৪নং ওয়ার্ডের বুড়িরচর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড রেহানিয়া গ্রামের মৃত হাজী ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে হাজী মোস্তফা মিয়া ও তার মেয়ের জামাই মোহাম্মাদ নুরুদ্দিন।

ভুক্তভোগী হাজী মোস্তফা মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানের নামে জোরপূর্বক আমার ৭২ শতাংশ জমি দখল, চলাচলের পথ বা দরজা দখল, শতের অধিক গাছ নিধন ও ১৫,০০,০০০ টাকা আত্মসাৎ করা প্রসঙ্গে থানা, জেলা আদালত, নৌ-বাহিনী, শিক্ষা অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন জনের কাছে অভিযোগ দেয়ায় ওরা বিভিন্ন সময় হত্যা করার চেষ্টা করেছে।আমি গত মাস খানেক ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, এ নিয়ে কয়েক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এখানে বসা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ট অনুসারী হওয়ায় তারা বিচার মানেননি। এক তরফাভাবে আমার জমি তারা দখলে নিয়ে, জাল দলীল সৃজন করে ভবন তৈরি করে ফেলে।

তার জেরে আমি হাতিয়া কোর্ট (মামলা সি আর নং-৫৪৭) এবং নোয়াখালী জেলা জজ ২য় আদালত (কেস নং-৬৪) এবং বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী (কেস নং- ১৫৫৫) এর নিকট মামলা করি। সেই জের ধরে তারা আমি ও আমার মেয়ের জামাইকে হাতুড়ি-রড দিয়ে প্রচুর মারধর করেছে। এর আগে কয়েকবার পরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা করেছে, আমি টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছি।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ কম্লেক্সের ডিউটিরত ডাক্তার বিমান চন্দ্র আচার্য বলেন, হাজী মোস্তফা নামের এক বৃদ্ধ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও ফোলা রয়েছে, হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে, তাকে , তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

হাতিয়া থানার ওসি তাওহীদ আনোয়ার বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।ভোক্তভোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থ গ্রহণ করবো।

  • হাতিয়া