২০২২ সাল। করোনা পরবর্তী ধাক্কা সামলে সবেমাত্র উঠে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এমন সময় কিছু সাহসী শিক্ষার্থী এগিয়ে এলো বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নের জন্য, প্রতিষ্ঠা করলো ‘সায়েন্টিয়া সোসাইটি’। তৎকালীন যশোরের দুই শিক্ষার্থী তাহসিন আলম উৎস এবং ফারহান তানভীর তোরসার হাত ধরে এই ক্লাবটির জন্ম হয়। ‘সায়েন্টিয়া সোসাইটি’ একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিজ্ঞান ক্লাব, যেটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষা পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সক্রিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য আকর্ষণীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ক্লাবটির অন্যতম মূল কাজ। কারণ ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের অনলাইনে থাকাকালীন সময়টাকে জ্ঞানার্জনের পথে কাজে লাগাতে পারে এবং উন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের মতো দক্ষ ও যোগ্য বিজ্ঞানকর্মী হয়ে উঠতে পারে সেটিই এই ক্লাবটির কার্যক্রমের অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি উদ্দেশ্য।
তাছাড়াও ক্লাবটির মিলনায়তনে বিজ্ঞানভিত্তিক সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ক্লাবের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্যাম্পেইন-ওয়ার্কশপের আয়োজন করে থাকে, যাতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান-জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে ক্লাবটি একাধিক অফলাইন কর্মসূচি ও ভার্চুয়াল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল হাই পারলিংক আইসিটি অলিম্পিয়াড-২০২৩, জামাল নজরুল বিজ্ঞান সেশন-২০২৩, একুশে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৪, জাকের হোসেন বিজ্ঞান সেমিনার-২০২৪ এবং সবুজ চেতনায় যশোর-২০২৪।
এসব ইভেন্ট, সেমিনার এবং ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে সায়েন্টিয়া সোসাইটির ‘সাধারণ সদস্য’ হিসেবে যুক্ত হতে পারবে। সাধারণ সদস্যদের জন্য অন্যতম সুযোগ-সুবিধাগুলো হলো বিজ্ঞান সংবাদ ভিত্তিক মাসিক নিউজলেটার প্রাপ্তি, অভিজ্ঞ এবং দক্ষ বিজ্ঞানকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারা, দলগত ও ক্লাব কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হওয়া ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এক ধাপ এগিয়ে থাকা এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিজ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ।
সায়েন্টিয়া সোসাইটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অত্র ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তাহসিন আলম উৎস বলেন, “সায়েন্টিয়া সোসাইটি চায় এদেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিজ্ঞান চেতনা কাজ করবে এবং একটি বিজ্ঞানমুখী জাতি গড়ে উঠবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে ক্লাবের প্রতিনিধি, নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাছে।” আর তাই তো ক্লাবটির স্লোগান হলো “বিজ্ঞান জানতে, বিজ্ঞানের সাথে”।