হিমালয় কখনোও একা দাঁড়াতে পারে না, তার পায়ের তলায় থাকতে হয় শক্ত মাটি। একবিংশ শতাব্দীতে আর্জেন্টিনার রূপকথা শুনতে ও দেখতে যে এত দুর্দান্ত লাগে তার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নাম ডি মারিয়া।
গোল করে শূন্য তে হৃদয় আকেন তিনি। বক্তারা তাকে মারিয়া বলে ডাকে। লুসাইল স্টেডিয়ামে গোল করে আবেগ আপ্লুত হয়ে ডি মারিয়া কাদলেন এবং কাদালেন। 2008 সালে অলিম্পিক গেমসের ফাইনালে গোল ছিল তার, 2021 সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের নায়ক, ফাইনালিসিমাতেও ডি মারিয়ার গোল ছিল স্কোর লাইনে, বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয় গোলের মালিক তিনি। ফ্রান্সের রক্ষণভাগকে ছিড়ে দিয়ে আলপনা আকেন তার বা পা, তারপরে আবেগের বিস্ফোরণ মারিয়ার।
বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি আর্জেন্টাইন ফুটবল ভক্ত আজও বিশ্বাস করে,, 2014 বিশ্বকাপের ফাইনালে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া যদি খেলতেন, তাহলে ফলাফলটা ভিন্ন কিছু হতো। সেই ম্যাচে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে হলেও মাঠে নামতে চেয়েছিলেন ডি মারিয়া, কিন্তু কোচ তাকে নামানোর ঝুঁকি নিতে চাননি৷
মারিয়ার বিদায়ে মেসি বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ ক্লাব পর্যায়েও তার সাথে খেলতে পেরেছি এবং কাছে থেকে তাকে দেখেছি।
আর্জেন্টিনার হয়ে তার অসামান্য অবদান তাকে ফুটবল ইতিহাসে মেসি, ম্যারাডোনা, ক্যাম্পেসের মত কিংবদন্তিদের কাতারে রাখবে।