বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সাথে গত নির্বাচনে ‘নৌকায় ভোট চাওয়া’ সঙ্গীতশিল্পী তাহসান এবং তার ‘বিএনপিপন্থী’ মা প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমকে জড়িয়ে যেসকল রঙচঙ মাখানো নিউজ করা হয়েছে, তার সবটাই সর্বৈব মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক প্রোপাগাণ্ডার অংশবিশেষ।
তাহসানের বিরুদ্ধে প্রথমে উস্কে দেওয়া হয় মারাত্মক এক গুজব। তা হলো তাহসান ২৪ তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। পরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ২৪ তম বিসিএস বাতিল করা হয়। ফলে পরের বিসিএসে তাহসান আর পাস করতে পারেনি।
এই গুজবটা যে কত জঘন্য আর কতটা হিউমিলিয়েটিং একটা মানুষের জন্য, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সরাসরি একজন নিরপরাধ মানুষের সামাজিক মর্যাদায় আঘাত।
তাহসান বলেন তিনি কখনো বি সি এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নি।
আইবিএ থেকে গ্রাজুয়েশন কম্পলিট করেই তাহসান ২০০৩ সালে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড ম্যানেজার হন। ২০০৬ সালে যোগ দেন ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে৷ এরপর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে শিক্ষকতা করেছেন বেশ কিছু দিন। ২০০৮ এ ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চলেতে যান। এরপর সর্বশেষ সম্ভবত ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়েও তাহসান শিক্ষকতা করেছেন।
তাহসানের মতো মেধাবী প্রো ম্যাক্স শিক্ষার্থীর বিসিএস না দেয়া টা ই স্বাভাবিক। আর তিনি দিলেও দুর্নীতি করে পাশ করতে হতো না।সেন্ট যোসেফ স্কুল থেকে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৯৮ সালে নটরডেম কলেজ থেকে HSC পাশ করেন তাহসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের IBA থেকে পড়াশুনা করেন। বুয়েটেও চান্স পেয়েছিলেন। তাহসানের IELTS স্কোর ৯/৯।
বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে।ব্র্যাক ছাড়াও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ইউল্যাবেও শিক্ষকতা করেন। ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন তিনি। গবেষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ইউনিভার্সিটিতে কাজ করেন।
তিনি একাধারে একজন গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক, পরিচালক, অভিনেতা, মডেল এবং উপস্থাপক। এবং প্রতিটি সেক্টরেই তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।