পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর সরাসরি নাম ও গুণবাচক নাম আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দুটি মূল নাম রয়েছে, যা হলো মুহাম্মদ ও আহমদ। এক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন, তিনি আল্লাহর রাসুল ও শেষ নবী।
’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪০)
অন্য একটি আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ঈসা (আ.) বলেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সুসংবাদ দিচ্ছি আমার পরবর্তী একজন রাসুলের, যার নাম হবে আহমদ।’ (সুরা : সাফ, আয়াত : ৬)
এছাড়া, পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর বেশ কিছু গুণবাচক নামও উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ২৪টি গুণবাচক নাম পাওয়া যায়।
নামগুলো হলো—
১. শাহিদ তথা সাক্ষ্যদাতা। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪৫)
২. মুবাশশির তথা সুসংবাদদাতা। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪৫)
৩. নাজির তথা সতর্ককারী। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪৫)
৪. দায়ি ইলাল্লাহ তথা আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪৬)
৫. সিরাজুম মুনিরা তথা প্রজ্জ্বল বাতি।
(সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪৬)
৬. মুজাক্কির তথা যিনি আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেন। (সুরা : গাশিয়া, আয়াত : ২১)
৭. রাসুল তথা প্রেরিত পুরুষ, যিনি শরিয়ত লাভ করেছেন। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪৬)
৮. রাউফুর রহিম তথা কোমল হৃদয়ে অধিকারী ও দয়াশীল। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১২৮)
৯. রাহমাতুল-লিল-আলামিন তথা যিনি জগদ্বাসীর জন্য আল্লাহর অনুগ্রহস্বরূপ। (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)
১০. মুজ্জাম্মিল তথা চাদরাবৃত। (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ১)
১১. মুদ্দাসসির তথা বস্ত্রাবৃত। (সুরা : মুদ্দাসসির, আয়াত : ১)
১২. নবী তথা প্রেরিত পুরুষ। (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬৪)
১৩. রাসুলুল্লাহ তথা আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ।
১৪. খাতামুন-নাবিয়্যিন তথা শেষ নবী। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪০)
১৫. হাদি তথা পথপ্রদর্শক। (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ৫২)
১৬. মাসুম তথা যিনি পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত। (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৬৭)
১৭. আন-নাবিয়্যুল উম্মি তথা নিরক্ষর নবী। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
১৯. সাহিবু খুলুকুল আজিম তথা উত্তম চরিত্রের অধিকারী। (সুরা : কালাম, আয়াত : ৪)
২০. নুর তথা জ্যোতি। (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১৫)
২১. কায়িমুন আলাল-হাক তথা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। (সুরা : নামল, আয়াত : ৭৯)
২২. কারিম তথা সম্মানিত। (সুরা : দুখান, আয়াত : ৪৯)
২৩. মুবিন তথা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী। (সুরা : হাজর, আয়াত : ৮৯)
২৪. শাহীদ তথা তা সাক্ষ্যদাতা। (সুরা : হজ, আয়াত : ৭৮)
এ ছাড়া কোরআনে নবীজি (সা.)-কে ওয়ালি (অভিভাবক), খাবির (অবগত), মাকিন (জমিনে প্রতিষ্ঠিত)-সহ বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত করা হয়েছে বলে কিছু সিরাত গবেষকের দাবি। তবে লেখক সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলো খুঁজে পাননি।