আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় যে তিনটি আমল

📄🖋: রুবিনা আক্তার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় যে তিনটি আমল

রাসুল (সা.) যেমন উম্মতদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, তেমনি মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের উপায়ও তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে একটি হাদিসে আল্লাহর কাছে প্রিয় তিনটি আমলের উল্লেখ রয়েছে।

ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন কাজ (আমল) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়? তিনি (রাসুল সা.) বললেন, সঠিক সময়ে সালাত (নামাজ) আদায় করা। আমি বললাম, এরপর কোন কাজ? তিনি বললেন, মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।

আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন কাজ? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০২, মেশকাত, হাদিস: ৫৬৮).

এ ক্ষেত্রে নামাজ আদায়ের পুরস্কারের বিষয়টি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামাজ) যা আল্লাহ তা’য়ালা (বান্দার জন্য) ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এই সালাতের জন্য ভালোভাবে অজু করবে, সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং এর রুকু ও খুশুকে সম্পূর্ণরূপে করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন।

আর যে তা করবে না, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন। (মেশকাত, হাদিস: ৫৭০)

আবার নামাজ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর নিষেধের কথা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত (নামাজ) পরিত্যাগ করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৪৯)

 

অন্যদিকে, পিতা-মাতার খেদমতের বিষয়ে মহান আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনে নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো, তাঁর সঙ্গে কিছুই শরিক করো না। আর সদ্ব্যবহার করো মাতা-পিতার সঙ্গে, নিকটাত্মীয়, ইয়াতিম, মিসকীন, প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সঙ্গী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহ দাম্ভিক ও অহংকারী লোকদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৩৬)

অপর আয়াতে বলা হয়েছে, এবং তোমার রব নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচরণ করবে।

যদি তাদের মধ্যে একজন অথবা উভয়েই তোমার কাছে বার্ধক্যে পৌঁছে, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। বরং তাদের সঙ্গে সম্মানজনকভাবে কথা বলো। (সুরা বনি-ইসরাঈল, আয়াত: ২৩)

এ ছাড়া আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীদের জন্য বিশেষ পুরস্কার রয়েছে। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর পথে মুজাহিদদের তুলনা ওইরূপ সায়িমের (রোজাদারের) ও সালাত আদায়রত অবস্থায় তিলাওয়াতকারীর মতো, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের ঘরে ফিরে না আসা পর্যন্ত সিয়াম পালনে ও সালাত আদায়ে নিমগ্ন থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৫৯৬, মেশকাত, হাদিস: ৩৭৮৮).

  • ইসলামী জীবন